লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মাঠে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের ৩১ জন ভিক্ষুককে ২য় পর্যায়ে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১টি করে গাভী, ১০০ কেজি করে চাল ও নগদ ৪ হাজার পাঁচশত টাকা প্রদান করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল হাসান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুকান্ত সরকার, তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে সরকার। ভিক্ষাবৃত্তি একটি স্বাধীন জাতির জন্য মর্যাদাহানিকর।
আরও পড়ুন: র্যাব-৭ এর (সিপিসি-২) হাটহাজারী ক্যাম্প উদ্বোধন
ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে ইতোমধ্যে ৬৬ জন নারী ও পুরুষ ভিক্ষুকের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে বাকি ৭টি ইউনিয়নেও এ কার্যক্রম শুরু হবে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৫ জনের মাঝে অনুদান বিতরণ করা হয়েছিল। আজ বাকি ৩১ জনের পুনর্বাসন করা হলো।
তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় যারা ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। অর্থপ্রাপ্তির স্বাপেক্ষে এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন হতে ভিক্ষুক নির্মূলে কাজ শুরু করা হবে। এই প্রকল্পে লালমনিরহাট জেলার সরকারি কর্মচারীগণ একদিনের বেতন অনুদান হিসেবে জমা দিয়েছেন । এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে পুরো জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।
এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।