মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অগ্রগতি হয়েছে ৫৬.৮০ শতাংশ। করোনার কারণে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মালপত্র আনতে না পারায় এমনটি ঘটেছে। তবে এটি ৩০ জুনের মধ্যে ৮৫ শতাংশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। অফিসগুলোর আর্কিটেকচার অনুযায়ী অফিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এলপিজি বা সিএনজি সিলিন্ডার বা অন্যান্য সিলিন্ডার ট্র্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে। গ্যাস ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে একটা মহাপরিকল্পনা থাকা জরুরি। কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইনে চালানোর বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। বাপেক্সকে শক্তিশালী করার জন্য এর পরিচালনা পর্ষদে দক্ষ ও পেশাদার লোক রাখা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন: চীনে ৫১৬১ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ
ভার্চুয়াল এ সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এ কে মহিউদ্দিন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের, ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও কোম্পানিগুলো ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।