ফুঁসে উঠেছে তিস্তা। দু’কূল ছাপিয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া পানি লোকালয়ে ঢুকছে। এতে অন্তহীন দুর্ভোগ-দুর্দশায় পড়েছেন নদীর তীরবর্তি অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, তিস্তার পানি শনিবার রাত ৯ টায় ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সূত্র মতে, চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বহু স্থানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ ঘরবাড়িতে তলিয়ে গেছে। উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার। অনেকে আবার নিরাপদ আশ্রয়ে না গিয়ে হাটু বা কোমর পানিতে ডুবে থাকা বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এতে করে খেয়ে না খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে কয়েক হাজার পরিবারকে।
স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহের বন্যার পর শুক্রবার দুপুর থেকে আবার বাড়তে শুরু করে তিস্তার পানি। শুক্রবার রাত বারোটায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শনিবার সারাদিন বিপৎসীমার ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। রাতে তা আরও বেড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। দফায় দফায় বন্যার ফলে দিশেহারা তিস্তার দু’কূল আর চরাঞ্চলের মানুষজন। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন চিরসংগ্রামী মানুষগুলো। শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে কর্মহীন শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষের সীমাহীন কষ্টে দিনরাত পার করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের আটদিন পর গৃহবধুর গলিত লাশ উদ্ধার
জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, গত সপ্তাহের বন্যায় জেলায় ১২৩ মেট্টিক টন চাল এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৫০ মেট্টিক টন চাল ও ৭ লক্ষ টাকা নতুন করে বিতরণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে।