৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে শর্ত সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে গণপরিবহন চলাচলের। তবে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিতে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাস মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার ( ১ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে দুই মাসেরও বেশি সময় বাস বন্ধ থাকে। ৬৭ দিন পর আজ থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বাস-মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে গণপরিবহনের ভাড়া ৮০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। পরে তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা অমানবিকতা। কম আয়ের মানুষই বাসে ওঠে। কার স্বার্থে বাস ভাড়া বাড়িয়েছে? মালিকদের স্বার্থে। মালিকদের আবার অনুদান দিচ্ছে। পুরো বিষয়টা হয়েছে লুটপাটের জন্য।’
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বারবার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবং তাঁদের নিয়োজিত পরামর্শক কমিটিই বলেছে, আরও কিছু দিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও বলেছেন। তারপরও সরকার সাধারণ ছুটি উঠিয়ে দিয়ে সবকিছু এলোমেলো করে দিলো।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতা। মনেই হয় না যে সরকার আছে। একেক বিভাগ একেক রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সরকারের একলা চলো নীতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কৃষকরা যখন ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ধান কাটা কর্মসূচি পালন করে কেন্দ্রীয় কৃষক দল। সারাদেশের কৃষক দলের নেতাকর্মীরা ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারদলীয় কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতারা কৃষকের ধান কাটার নাম করে যে বিশৃঙ্খলা করেছেন তা সারা দেশের মানুষ দেখেছেন।’