‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের জ্যেষ্ঠতা লঙঘন করে’ একটি বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভিসি) উপাচার্যসহ ছয়জনকে (লিগ্যাল) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এই নোটিশ পাঠান।
আগামী সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাবির উপাচার্য ছাড়াও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ পাঁচজনকে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোহবান, দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী এবং কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সালেহা জেসমিন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৯ মে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মেয়াদ শেষ হয় গত ৮ মে। ‘জ্যেষ্ঠতার নিয়ম অনুযায়ী’ অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পর অধ্যাপক মু. আলী আসগর চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক আলী আসগরকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। যাতে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর ২৯ ধারার (৩) (১) জ্যেষ্ঠতার নিয়ম’ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভাগে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু এটা না করে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে তার চেয়ে কম জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষককে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া অধ্যাপক আলী আসগরকে এ বিষয়ে আগে কোনো নোটিশ দিয়ে জানানও দেয়নি প্রশাসন।”এটা স্পষ্টত অধ্যাদেশকে পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছে।”