মহাকাশের উদ্দেশে দুই নভোচারীকে নিয়ে রওয়ানা দিলো স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসুল। আর এর মধ্যেই রচিত হলো ইতিহাস— এই প্রথম কোনো বেসরকারি বাণিজ্যিক মহাকাশযানে করে মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠালো নাসা। মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৮ বছরের মাথায় এমন কীর্তি গড়লো।
শনিবার (৩০ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ৩ টা ২২ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি। এই মহাকাশযানের প্রপেলেন্ট (উৎক্ষেপক যান) হিসেবে ছিলো স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯। দুই বছর আগে অত্যাধুনিক প্রপেলেন্ট ফ্যালকন ৯ ব্যবহার করেই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিলো।
ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি দুই জন অভিযাত্রী বিজ্ঞানীকে বহন করছে। দুই বিজ্ঞানী হলেন— রবার্ট বেনকন ও ডগলাস হার্লি। ১৯ ঘণ্টা ভ্রমণ করে তারা পৌছবেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখানে তারা ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
আমেরিকার ভূমি থেকে মানববাহী রকেট উৎক্ষেপণ হলো ৯ বছর পর। ২০১১ সালে আমেরিকার প্রথম যাত্রীবাহী স্পেস শাটল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে ভরসা ছিলো রাশিয়ার সয়ুজ। ৯ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীদের মহাকাশে রাশিয়ার রকেট দিয়েই পাঠানো হত। এতে নাসাকে বড় অংকের টাকা গুণতে হত। এবার স্পেসএক্সের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠানোরে এ কর্মসূচী অনেকটাই অর্থ সাশ্রয়ী হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশে পর্যটক পাঠানোর পথেও আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো নাসা-স্পেসএক্স।
এর আগে গত বুধবার বেলা ৪টা ৩৩ মিনিটে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের কথা ছিলো। তবে সেদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকায় শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়।
শনিবার মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের এই ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অন্তত ৪ হাজার মানুষ।