গত দুই দিন ধরে তুরস্কে আলোচনার পর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পশ্চিম তীরের গোষ্ঠী ফাতাহ প্রায় ১৫ বছর পর ফিলিস্তিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছে। ফাতাহ নেতা মাহমুদ আব্বাস এবং হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে সমঝোতা চুক্তির আওতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনে সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফিলিস্তিনের সর্বশেষ ২০০৬ সালের সংসদীয় নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছিল হামাস। হামাস সরকার গঠন করার কিছুদিন পর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সে সরকার ভেঙে দেন। তখন থেকে গাজা উপত্যকা শাসন করে আসছে হামাস এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ মুভমেন্ট ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। গত ১৪ বছর ধরে দুই জায়গাতে কোনো নির্বাচন হয়নি। অবশেষে তারা সাধারণ নির্বাচন করতে রাজি হলো।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে থেকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি জানিয়েছেন, এ বার সত্যিকারের সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই গোষ্ঠী। দুই গোষ্ঠীর মতপার্থক্যের জন্য দেশের ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার দুই পক্ষ একসঙ্গে বসে বিরোধ মিটিয়েছে। ফাতাহ নেতা জিবরিল আল-রাজৌব রয়টার্সকে বলেছেন, মতৈক্য হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে। এদিকে ফাতাহ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম আল আহমাদ জোর দিয়ে বলেন, জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা নির্বাচন থেকে বাদ যাবে না।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর পর হামাস ও ফাতাহ নিজেদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার তাগিদ অনুভব করে। কারণ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনের ছবি তুলে ধরা এখন জরুরি বলে হামাস ও ফাতাহ নেতারা মনে করছেন।