করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশেই চলছে লকডাউন। শিল্প কারখানাসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে পৃথিবীজুড়ে এক বিশাল সংখ্যার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
অন্যান্য দেশগুলোর মতই করোনার বিস্তার রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৮ মে) দেশটির শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত এপ্রিলে দুই কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। যা ১৯৩৯ সালের পর এই প্রথম ঘটল।
এর আগে গেল মার্চ মাসে আমেরিকায় করোনার কারণে বন্ধ হয়েছে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি কর্মস্থল। এই দুই মাসে যে পরিমাণ লোক ছাঁটাই করা হয়েছে যা চাকরি করা লোকেদের সংখ্যার দ্বিগুণ। যেখানে মার্কিন নিয়োগকারীরা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ২২.৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।
বর্তমানে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়েছে ১৪.৭ শতাংশ। বিএলএস এর রেকর্ডমতে, ১৯৪৮ সালের পর মাসিক হারে এটিই সর্বোচ্চ। তখন আমেরিকান বেকারত্বের সময়টি ছিল মারাত্মক হতাশার। আবার বিএলএসের বার্ষিক হিসাব অনুসারে, ১৯৩৩ সালে দেশটিতে বেকারত্বের হার ২৪.৯ শতাংশে পৌঁছেছিলো।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার শেষে খাদ্য সংকট হোক বা না হোক চাকরির সংকট সবচেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত। আর শুধুমাত্র আমেরিকায় বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়বে। যে বেকারত্ব দূর করতে এতো প্রচেষ্টা, সেই চ্যালেঞ্জই কি আবার নতুন করে নিতে হয় কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।