রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়া আরও পনেরো জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে সাত পুলিশ সদস্য এবং স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট ছয়জন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে করোনা জয়ী ওই ১৫জনকে ছাড়পত্রসহ ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় জানানো হয়। এ নিয়ে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে ২৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রিফাত মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠা সাত পুলিশ ও চারজন নার্স ও ব্রাদারসহ ১৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তারা সবাই এখন শারীরিকভাবে সুস্থ্য রয়েছেন। তাদের শরীরে করোনা নমুনার সবশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
তারা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্রাদার ফোরকান আলী (৪৫), নার্স শিরীন আখতার (৪২), ব্রাদার ফাহিনুর (২৭), নার্স মমতা আখতার (৩৮) এবং স্টাফ হুমায়ুন কবীর নোমান (৪২), মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ রবিউল ইসলাম (৩৫), মিঠাপুকুর উপজেলার বাবুল ঘোষ (৪৮) এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী দবির উদ্দিন (৩৭)।
এছাড়াও রংপুর পুলিশ লাইন্সের সাতজন সদস্যকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তারা হলেন, মশিউর রহমান (৩৮), নাহিদ হাসান (২৯), জয়দেব (২৮), নীল কমল (২২), সিরাজ উদ্দিন (২৯), মতিয়ার রহমান (২৭) এবং শাকিল (২৩)। এই সাত পুলিশ সদস্য গত ৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হন।
ডাঃ রিফাত মাহমুদ আরও জানান, গত ২৯ এপ্রিল ফোরকান আলী, পরের দিন মমতা আখতার, ২ মে নোমান ও দবির, ৫ মে শিরীন ও ফাহিন এবং রবিউল ও বাবুল ৯ মে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এই ১৫ জন রোগীর শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকা এবং পরপর পরপর দুইটি রিয়েল টাইম পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল থেকে বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা সুস্থ হওয়া রোগীদের হাতে হাতে ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বর্তমানে এই হাসপাতালে ১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।