চট্টগ্রামের রাউজানে শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া এক কলেজ শিক্ষকের দাফন কার্যে বাধা দিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত ৮টার দিকে রাঙ্গুনিয়া সৈয়দা কাদের ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন (৫৯) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ভর্তির আগেই তার মৃত্যু হয়। এরপর দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নিজ উপজেলা রাউজানের নোয়াপাড়ায়। কিন্তু সেখানে তার স্বজনরা লাশটি দাফনে বাধা দেয় এবং ফেরত পাঠায় কর্মস্থল রাঙ্গুনিয়ায়।
এদিকে নিজ গ্রাম রাউজানের নোয়াপাড়ায় লাশ দাফন করতে বাধা পেয়ে লাশ রাঙ্গুনিয়ায় ফেরত গেলে সেখানে পাগলা মামার মাজার প্রাঙ্গনে লাশ নিয়ে অসহায় হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের এই অসহায় অবস্থার খবর পেয়ে এগিয়ে আসে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা গাউছিয়া কমিটি।
এলাকার উদ্যমী তরুণদের সাথে নিয়ে কবর খুড়ে জানাজা নামাজ পড়ে পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় এ শিক্ষককে।
এই প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ইসমাঈল হোসেন জুয়েল জানান, রাউজান থেকে এই শিক্ষকের লাশ ফেরত পাঠানোর খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির সদস্যদের নিয়ে দাফনের দায়িত্ব নেওয়া হয়। এলাকার তরুণদের সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশটি দাফন করা হয় বৃহস্পতিবার রাতেই।
রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের এ শিক্ষকের মৃত্যুর খবরে এলাকায় তার ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কিন্তু তার লাশ দাফন না করে নিজ উপজেলা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠে। পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির সদস্যদের মানবিকতার ভূয়সী প্রশংসাও করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ৯ তারিখ তিনি নমুনা পরীক্ষা দিলেও এখনও রিপোর্ট আসেনি। তার বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় হলেও তিনি রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।