সরকার প্রদত্ত প্রায় সকল স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সাভারে চলাচলরত যানবাহনে। পূর্বের চেয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে বাস, লেগুনা, অটোরিকশা। সড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহন থাকলেও, যাত্রী রয়েছে হাতে গোনা। ছোট-বড় প্রায় সকল যানবাহনে ব্যবহার করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। চালক, হেল্পাররাও পরিধান করছে নিরাপত্তা সামগ্রি।
সাভার থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসগুলোতেও দেখা গেছে একই রকম ব্যবস্থা। গণপরিবহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হলেও উদাসীনতা স্পষ্ট যাত্রীদের মাঝে। অনেক যাত্রীই জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে নারাজ, অনেকে আবার মাস্ক ছাড়াই যাতায়াত করছে নিশ্চিন্তে।
মূলত বেশিভাগ পরিবহণে জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। যা বাহ্যিক ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে সরাসরি ব্লিচিং মিশ্রিত পানি অ্যালার্জিজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই অনেক যাত্রী এই ধরণের জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে অনিহা দেখাচ্ছে।
গণপরিবহণে করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দেখা গেলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে সাভারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারগুলোতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারে ক্রেতার ভিড় লেগেই আছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, পর্যবেক্ষণে নেই প্রশাসনের তৎপরতা।
সাভারের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করছে। মাস্কের কথা জানতে চাইলেই দিচ্ছে নানা অজুহাত কেউবা বলছে গরম লাগার কথা।
বিক্রেতাদের মতো অনেক ক্রেতাকেও দেখা গেছে অসচেতনভাবে চলাচল করতে। তাদের দেখে বোঝার উপায় নেয় দেশে এক ভয়ংকর দানব বিরাজ করছে।