ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় আমেরিকার সামরিক আগ্রাসন বিশ্বব্যাপী মার্কিন সরকারকে ঘৃণিত করে তুলেছে। তিনি আরও বলেছেন, অবশ্য ইরাক বা সিরিয়ায় মার্কিন সেনারা থাকতে পারবে না বরং তাদেরকে চলে যেতে হবে এবং নিঃসন্দেহে তাদেরকে (এসব দেশ থেকে) বহিষ্কার করা হবে।
রোববার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেয়া ভাষণে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বহু দেশে এমনকি আমেরিকার ভেতরেও মার্কিন পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়; আর এ ঘটনা বিশ্ববাসীর অন্তরে আমেরিকার প্রতি ঘৃণার মাত্রা তুলে ধরে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেন, শুধু সাধারণ মানুষ নয় আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরাও নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতার সময় মার্কিন নেতৃবৃন্দের প্রতি বিতৃষ্ণা ও ঘৃণা উগড়ে দেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের প্রতি বিশ্ব জনমতের ঘৃণার প্রধান কারণ, সেদেশের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেপরোয়া ও যুক্তিহীন আচরণ এবং বাগাড়ম্বর। অবশ্য দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকা বিশ্বব্যাপী গণহত্যা, অপরাধযজ্ঞ, অন্যায় আচরণ, সন্ত্রাসবাদ লালন, স্বৈরাচারী ও গণধিকৃত সরকারগুলোর প্রতি সমর্থন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের কারণে নিন্দিত ও ঘৃণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতি ও করোনাভাইরাস সামাল দিতে না পারার কারণে আমেরিকার অভ্যন্তরে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভাষণের অন্য অংশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেন, আমেরিকার বলদর্পিতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণেই বিশ্বব্যাপী ইরান সুখ্যাতি ও সম্মান অর্জন করেছে। তবে ইরানি জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি এবং ইরানের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার কাজে এখনো আমেরিকা হাল ছাড়েনি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা শত্রুর এ অপচেষ্টার উল্টো ফল দিয়েছেন। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি প্রতিরোধের সম্মানজনক পথচলা অব্যাহত রাখতে ইরানি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।