আবেদন শুরু মেডিকেলে, চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত

আবেদন

আবেদন

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এ আবেদন করতে পারছেন। আবেদন চলবে আগমী ১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণরা ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। দেশে অথবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯ থাকতে হবে।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। এছাড়া সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি ও মেধা তালিকা
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর, মহাখালী, ঢাকা বরাবর দুই হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারসহ আবেদন করে জিপিএ রূপান্তর করে সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় আইডি নম্বর নিতে হবে।

আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপাতত আয়কর না নেয়ার নির্দেশ

সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় এসএসসি সনদপত্রের সত্যায়িত কপি সঙ্গে আনতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি কোটায় আবেদনকারীদের যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় সনদের স্মারক নম্বর বা সনদ নম্বর ও তারিখ অনলাইনে আবেদনের এন্ট্রি করতে হবে। অন্যথায় কোটাগুলো অনলাইন এন্ট্রি হবে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *