নতুন রাজনৈতিক ঐক্য “লিবারেল ইসলামিক জোট” এর আত্মপ্রকাশ

নতুন

নতুন

লিবারেল ইসলামিক জোট নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ইসলামিক জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে লিবারেল ইসলামিক জোট গঠন করা হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক জোটের দলগুলো হলো, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট, আশিক্কেনী আউলিয়া ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি), কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী)।

বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান এবং লিবারেল ইসলামিক জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, লিবারেল ইসলামিক জোট মনে করে, দেশের মানুষ শান্তি ও স্বস্তিতে বাঁচতে চায়।দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চায়, দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র, চায় স্বল্পমূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা এবং ন্যায়বিচার। ঘৃণা, হিংসা, সংঘাত, সংঘর্ষ দেশবাসী আর দেখতে চায় না। জনগণ বিরোধী দলের জনসভায় ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ও একই সাথে পাঁচশত জায়গায় বোমা হামলা, জ্বালাও-পোড়াও, বৃক্ষ কর্ত সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করার তাণ্ডব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পুনরাবৃত্তি জনগণ যেমনি আর চায় না। তেমনি উন্নয়নের নামে লুটপাট, দুর্নীতি, অপরাজনীতি, অগণতান্ত্রিক আচরণ ও দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, আমাদের এই জোট শুধুমাত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেনি। দীর্ঘ কয়েক বছরব্যাপী আলাপ আলোচনা করে, বিচার-বিশ্লেষণ করে সমমনা দলগুলো একটি সুদূর প্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এ জোটের ঘোষণা দিচ্ছি। এই জোট জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সার্বিক কল্যাণে অবদান রাখবে। এই জোট স্বাধীনভাবে সকল সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি গ্রহণ করবে, কারো লেজুরবৃত্তি না করে সত্য ও ন্যায়ের পথ অনুসরণ করবে। এই জোটের সকল নেতা-কর্মীদের নীতি নৈতিকতা দৃঢ় রেখে জণগণের স্বার্থে দুর্নীতি, অনাচার এবং অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, এই জোট রাষ্ট্র ও সমাজে মূল্যবোধ, সামাজিক বন্ধন, মানবতা ও উদারতা প্রতিষ্ঠায় জোড়ালো চেষ্টা চালাবে। এই জোট সকল প্রকার উগ্রবাদ, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সর্বোপরি এই জোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, উদার, অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক জোট হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। নারীর ক্ষমতায়নে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ নারী ও শিশুর প্রতি সকল সহিংসতা বন্ধ এবং যুবসমাজকে রক্ষায় মাদক নির্মুলে মাদক চোরাকারবারি ও মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি দেখাবে।

মিছবাহুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, আামাদের জোট চায়, সবাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। একই সাথে আমাদের জোট নির্বাচনের বিকল্প পন্থায় ক্ষমতা দখলের সকল প্রচেষ্টার ঘোর বিরোধিতা করে। নির্বাচনে আমাদের লিবারেল ইসলামিক জোট সব আসেন প্রার্থী দিবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমরা চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ। যাতে জনগণ তাদের ভোট প্রদান করতে পারে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, লিবারেল ইসলামিক জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী,আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শাহ সূফী সৈয়দ আলম নূরী আল সুরেশ্বরী, বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি)চেয়ারম্যান মো:মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক পার্টির (কেএসপি)চেয়ারম্যান ফারাহনাজ হক চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী)চেয়ারম্যান মো: হাসনাত খান ভাসানী প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *