মিঠাপুকুরে মাদক ও অনলাইন জুয়ার আগ্রাসনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছাত্র-যুবসমাজ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে হাত বাড়ালে পাওয়া যায় ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা সহ নানা ধরনের নেশাজাত দ্রব্য। অনলাইন জুয়া ও মাদকে আসক্ত হয়ে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছে।‌ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই সহজলভ্য হয়েছে মাদকদ্রব্য । হাত বাড়ালেই ছাত্র কিংবা যুবকেরা কিনতে পাচ্ছেন এ সমস্ত নেশাজাত দ্রব্য।

কিছু চিহ্নিত জুয়া ও মাদক কারবারি এ ব্যবসার সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময় থানা পুলিশ কিংবা র্যাবের অভিযানের পরেও দিনের পর দিন তারা এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড পুরদমে চালিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারণে জুয়া ও মাদক কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন বয়সের যুবকরা এ সব কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে।দিনের বেলায় এসব জুয়াড়ি ও মাদক কারবারিদের তেমন একটা চোখে না পড়লেও সন্ধ্যা নামতেই তাদের আনাগোনা বেশ লক্ষণীয়।

এক সময় মিঠাপুকুর উপজেলা খুব শান্ত ও মনোরম পরিবেশ বিরাজ করতো। কিন্তু, কিছু অসাধু বিপথগামী মানুষের কারণে দিন-দিন এই উপজেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এখন উপজেলায় প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে জুয়া ও মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। কি নেই এখানে! গাঁজা, মদ, ইয়াবা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাদক সেবন ও বেচা-কেনা এবং অনলাইন জুয়া খেলা হয়ে থাকে। মাদক ব্যবসার শক্ত একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে উপজেলায় । এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে কিছু অসাধু ব্যক্তি।।

মাদক কারবারিদের অনেকেরই বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে, প্রতিনিয়ত থানা পুলিশ ও প্রশাসনের অভিযানও চলমান রয়েছে । সুশীল সমাজসহ স্থানীয় লোকজনরা ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।

কিছু সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতকারীরা মাদকের ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে। এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদেরকেও মাদক পরিবহন ও সরবরাহ কাজে ব্যবহার করছে। ধীরে-ধীরে ওই দুষ্কৃতকারী চক্রটি মাদক কারবারিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়াও রাত যত গভীর হয় মাদক কারবারিদের চলাফেরাও বেড়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার কিংবা রাস্তাঘাটে। ইতিমধ্যেই মাদক বিক্রির কাঁচা টাকায় অনেকেই অনেক সম্পদও গড়ে তুলেছে। কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা ভরছে তাদের পকেটে। এরা অবৈধ ব্যবসার বিপুল টাকা দিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটও গড়ে তুলেছে এলাকায়। তাদের রয়েছে বেশকিছু বাহিনীও। কেউ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেই বাহিনীর লোকজন তেড়ে আসে প্রতিবাদকারীর দিকে। তাই, ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে-না।

উপজেলার সচেতন মহল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকারী অভিযানসহ অবিলম্বে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

মর্নিংনিউজ/বিআই/এসইউ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *