করোনা: বালাই নেই স্বাস্থ্য বিধি মানার ,নাটোরে বাড়ছে সংক্রমন

ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি


নাটোরে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার প্রতিযোগিতা। রাস্তা ঘাট, দোকান পাট ,গ্রামের বাজার, পাড়া, মহল্লার মানুষগুলো নির্বিকার। তারা চলছেন তাদের মত করেই। অনেকেই নিজেকে ছেড়ে দিয়েছেন ভাগ্যের হাতে। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা। তারা চাইলেও মানুষের ভীড় এড়িয়ে চলতে পারছেন না। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনে সংখ্যা।

নাটোরে প্রথম ২৮ এপ্রিল ৮জন করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মে ৩০জন করোনায় আক্রান্ত হন। ২০ মে আক্রান্ত হন ৫জন। এরপর ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে সংখ্যাটি ৬৯ জনে এসে দাড়িয়েছে। সুতরাং ৪২ দিনে নাটোরে আক্রান্তর সংখ্যা ৬৯ জন। যদিও এই সময়ে মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন।কিন্তু প্রায় প্রতিদিনিই বাড়ছে একজন দুজন করে। এটা নাটোরের সচেতন মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।

সরজমিনে আজ বৃহস্পতিবার ১১ মে সকালে নিচাবাাজর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু দোকানের সামনে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার জন্য পাত্র ও সাবান। কিন্তু ব্যভহার করছেন না কেই। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। চায়ের স্টল, মুদীর দোকান , সর্বত্রই মানুষের ভীড় । নেই সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কোন তাগিদ। ফলে সামজিক মাধ্যমেও করোনার মত ভয়াবহ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রতি পদে। পাড়ায় মহল্লার ভিতরে ভীড় করে চলছে আড্ডা। অপেক্ষাকৃত কম বয়সের তরুণরা দল বেধে চলা ফেরা করছেন। সর্বত্রই যেন আইন না মানার একটি প্রবণতা। দোকানগুলোতে ভীড় বাড়লেও ওই ব্যবসায়ি সামাজিক দুরত্ব মানার কোন তাগিদ দিচ্ছেন না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

হালসা বাজারের চিত্র দেখে এসে একজন সংবাদ কর্মি জানালেন, সেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা করছেন। স্টল গুলোতে জমে উঠেছে আড্ডা। আত্মীয়তা, সামাজিকতা সবকিছুই চলছে সমান তালে। আয়েশ গ্রামের অধিবাসী কলেজ শিক্ষক সোহরাব হোসেন জানান, বিয়াস , ডাহিয়া, সহ বিভিন্ন বাজারের চিত্র একই রকম। সেখানে করোনা নিয়ে নানা আলোচনা হলেও স্বাস্থ্য বিধ ও সামাজিক দুরত্ব মানতে রাজি নই কেউ । সকালের দিকে নাটোর শহরের প্রধান মোড় ছায়াবাণী সিনেমা হল মোড়ে দেখা যায় , অটো ও রিকসা জট। বেলা বাড়ার বাড়ার সাথে তা কমে আসে। রাস্তায় লোক চলাচলের একই অবস্থা। পথ চলতে গিয়ে মানুষের শরীরের সাথে অন্যের শরীরের ধাক্কা লাগছে। এ অবস্থায় চলছে শহরের বাজার।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, জনগণকে সচেতন করতে প্রতিদিন শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য চালানো হয়েছে ভ্রাম্যশান আদালতের অভিযান। তিনি বলেন, করোনার মত বয়াবহ ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার কোন বিকল্প নেই।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পুলিশের টিম নিয়মিত তদারকি করছে। তাদেরকে আমাদের পুলিশ সদস্যরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এমনকি নিজের জীবন বাজী রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। জেলায় অনেক পুরিশ সদস্য কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। করোনার মত ভয়ঙ্কর ব্যাধিকে মোকাবেরা করতে জন সচেতনাতার কোন বিকল্প নেই ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *