নাটোরের বড়াইগ্রাম সংস্কারের ২০ দিনেই ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক

নাটোরের বড়াইগ্রামে সংস্কারের ২০ দিন যেতে না যেতেই রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বিটুমিন দিয়ে নামকাওয়াস্তে রাস্তা সংস্কারের কারণে এমনটি ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকসা তেঁতুল তলা থেকে দিঘলকান্দি লেউতির মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নাটোরের ঠিকাদার মির্জা খোকনের মালিকানাধীন এমএন ট্রেডের নামে কাজটি বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে সাব ঠিকাদার আব্দুল আজিজ কাজটির দায়িত্ব নেন। গত ৮ জুন রাস্তাটির কার্পেটিং শেষ হয়। কিন্তু সংস্কারের ২০ দিন পার না হতেই রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে যাচ্ছে।

সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, খাকসা ও দিঘলকান্দি গ্রামের মাঝখানে কালভার্টের পশ্চিম পাশে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। কোথাও কোথাও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পুরো রাস্তা জুড়েই এবড়োথেবড়ো অবস্থা। কাজ শেষ করার মাত্র ২০ দিন যেতেই রাস্তার এ বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, রাস্তাটির কাজ শুরু হলে নিম্নমানের ইট খোয়া ও বালি ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বালু না দেয়াসহ পুরো রাস্তা জুড়ে তিন নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। দেশী বিটুমিনের পরিবর্তে ইরানী বিটুমিন দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এতে রাস্তার মান খুবই খারাপ হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।

সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার চালক আবু তালেব জানান, নতুন সংস্কার করা রাস্তা এমন হয় কখনও দেখিনি। গোটা রাস্তাটুকুই অসমান, গাড়ি চালানোর সময় নতুন রাস্তাতেই ঝাঁকুনি হয়।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত প্রতিরক্ষা সচিব আর নেই

দিঘলকান্দি গ্রামের ওসমান গণি বলেন, সংস্কার করতে না করতেই যে রাস্তা ভেঙ্গে যায়, সে রাস্তা কয়দিন টিকবে তা বোঝার বাঁকি থাকে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঠিকাদার আব্দুল আজিজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হবে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *