নাটোরে দ্রুত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। নুমনা পরীক্ষার জটিলতা তার মধ্যে অন্যতম কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় দ্রুত নমুনা পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের শনাক্ত করে আলাদা করে ফেলতে না পারলে সামাজিক পর্যায়ে ভয়াবহভাবে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাটোর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় , গত ২২ ও ২৩ জুন নাটোর থেকে পাঠানো কোন নমুনার পরীক্ষা হয়নি। ২৪জুন রামেকে মাত্র ১৫ টি নুমনার পরীক্ষা হয়েছে। অপরদিকে ওই একই দিনে নাটোর থেকে প্রেরন করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য ১৪০ টি নমুনা। সব মিলিয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত ৪৮০টি নমুনার পরীক্ষা এখনো হয়নি। একারণে কোন কোন নমুনার ফলাফল পেতে ৭ থেকে ১০দিন সময় লাগছে।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান,আমরা নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য রামেকে প্রেরন করছি। এখন পরীক্ষা করার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। কারণ নাটোরে কোন পিসিআর ল্যাব নেই। যেখানে করোনার পরীক্ষা করা সম্ভব।
অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী ল্যাবে ভিআইপিদের গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ব্যক্তিদের নমুনার ফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। অপরদিকে শনাক্ত না হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে চারিদিক এ রোগ বিস্তার লাভ করছে। যা আমাদের সকলের জন্য ভয়ঙ্কর। সৃষ্টি হচ্ছে সমাজের নানা স্তরে আতঙ্ক। এ বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের মোট ৫টি ল্যাবে নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহীর দুটি ল্যাবে রাজশাহী ,নাটোর, পাবনা, নওগাঁ ও চাপাইনববাগঞ্জের নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ নমুনা আমাদের কাছে আসছে তা দিনের দিন পরীক্ষা করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই সক্ষমতার অতিরিক্ত নমুনা ঢাকায় আরও দুটি ল্যাবে পাঠাতে হচ্ছে আমাদের । ঢাকায় নমুনা পাঠিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে প্রতিদিন ১২শ’ থেকে ১৪শ’ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বিভাগের ৪টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা মাত্র ৫৫০টি। ফলে উদ্বৃত্ত নমুনাগুলো ঢাকার জাতীয় ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও প্রাণিসম্পদ গবেষণাগার ল্যাব সাভারে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ও ২৩ জুন দুইদিন নাটোর থেকে পাঠানো কোন করোনার পরীক্ষা করা হয়নি। ২৪ জুন হয়েছে মাত্র ১৫টি নমুনার পরীক্ষা।