প্রেম, পরকীয়া, বিয়েই মেতেছে মেহেরপুরের সজীব, পুঁজি তার সরকারি চাকরি

প্রেম

প্রেম

সময়ের বিবর্তনে মানুষের আবেগ অনুভূতি পরিবর্তন হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে নারী-পুরুষের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার সুযোগে নারী-পুরুষ অবাধে মেলামেশা করছে। আর তারই সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ তৈরি করছে অবৈধ সম্পর্ক। যা সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ। একের পর এক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নিচ্ছে তরুনীদের, এমনকি বিবাহিত নারীদেরও ছাড় দেয় না তারা, গড়ে তোলে পরকীয়ার মতো অবৈধ সম্পর্ক। এমন খেলায় মেতেছে মেহেরপুরের সজীব। প্রেম–পরকীয়ার খেলায় সজিব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে তার পেশাগত পরিচয়, সরকারি চাকরি। পুরো নাম মোঃ সজিবুর রহমান। মেহেরপুরের যুগিন্দা গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। যুগিন্দা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে সজিবের নামে চাকরি পাবার আগে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও হঠাৎই তার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করে এলাকাবাসী।

নাম উল্লেখ না করার শর্তে সজিবের এলাকার এক যুবক বলেন, চাকরির কারণে সজিব এলাকার বাইরে থাকতো, ছুটিতে গ্রামে আসলে বন্ধুদের সাথে খুব একটা সময় কাটাতো না। সবসময় দেখতাম মোবাইলে ব্যস্ত থাকতো। অথচ চাকরি পাওয়ার আগে সজিব বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতো।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মো: সাহার আলীর মেয়ে মোছা: জুই খাতুনের সাথে বিয়ে হয় সজিবের। কিন্তু বিয়ের পর সে থামেনি। নতুন নতুন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এ নিয়ে জুইয়ের সাথে মাঝে মধ্যে ঝামেলা হতে থাকে। এক পর্যায়ে জুইকে তালাক দেয় সজিব।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, নিজের সংসার ভেঙ্গে ক্ষান্ত হয়নি সজিব। পরকীয়ার পরিনতিতে ভেঙ্গেছে আরও একটি সংসার। তানজিম আক্তার জীম নামের এই গৃহবধূ সজিবের প্রেমে নিজের স্বামীকে ত্যাগ করে। এক্ষেত্রে জীমের বাবা মনিউর রানা ও মা আক্তারা জাহান লিপি তাকে সহযোগিতা করে। গুঞ্জন আছে আগের স্বামীর চেয়ে ভালো চাকরি থাকার করনেই জীমের বাবা মা একপ্রকার জোর করে আগের স্বামীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তালাক করিয়ে নেয় এবং সজিবের সাথে বিয়ে দেয়।

সজিবের এমন আচরণে এলাকাবাসী উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেছেন এই কাজ আগামী প্রজন্মের জন্য খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর সঠিক বিচার হওয়া এখন সময়ের দাবি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *