বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনে

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সোমবার রাতভর তল্লাশির পর এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবার তল্লাশি শুরু করেন তাদের ডুবুরিরা।

পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ এবং বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও এই অভিযানে রয়েছেন।

কামরুল হাসান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সদরঘাটে আসা লঞ্চের বার্থিংয়ের জন্য তল্লাশি অভিযানে ওই এক ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়।

এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়া স্থানীয়রা আরও দুজনকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১০টার দিকে একজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র নেতৃত্বে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে তীরের কাছাকাঠি নিয়ে আনা হয়েছে সকালের দিকে।

উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর ৬০-৭০ ফুট গভীরে উল্টে থাকা লঞ্চটিকে টেনে তুলতে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। একেকটি ব্যাগ ৮টন ওজন তুলতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবারও বুড়িগঙ্গার তীরে ভিড় করেছেন স্বজনহারা মানুষেরা। অনেকে নৌকা ভাড়া করে নদীর মাঝখানেও জড়ো হচ্ছেন তল্লাশির স্থানের কাছে।

সদরঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, “নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা ভিড় করছে। আমরা সেজন্য নদীতে পেট্রোলের ব্যবস্থা করেছি। উৎসুক দর্শকদেরও দূরে রাখার চেষ্টা করছি।”

এ দুর্ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ ঘটানোর অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নৌ পুলিশ।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *