ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১২নম্বর নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের সাপখোলা গ্রাম। বিগত প্রায় দু’বছর ধরে এক অজানা আতঙ্ক কাজ করে এখানকার নারীদের মধ্যে। কোন এক অজানা ব্যক্তি রাতের আঁধারে ঘুমন্ত নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। এতে করে অনেক রাত নির্ঘুম কেটেছে এখানকার নারীদের। শৈলকুপার এ গ্রামটিতে প্রায় দু’বছর ধরে রাতের আঁধারে নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলার বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হয়। এরপর গ্রামবাসী গত ৪মে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে। পরে এতে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের জুলকার খাঁ নামে এক ব্যক্তি ও তার সহযোগী এক নারীকে শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা।
জানা যায়, তিন স্ত্রী চলে যাওয়ায় অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে ঐ ব্যক্তি। সে কারণে রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার একটি গ্রামের ঘুমন্ত নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে পরবর্তী সময়ে তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও অর্থ আত্মসাৎ করা ছিল তার উদ্দেশ্য। জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানান ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোঃ আশিকুর রহমান।
পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলার বিষয়টি জানাজানির পর তদন্ত শুরু করে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। মোবাইল ফোনে পাওয়া সিমকার্ডের সূত্র ধরে মালিককে শনাক্ত করা হয়। এরপর বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জুলকার খা ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রামের একটি বাড়িতে গত ২৩ এপ্রিল রাতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারণ করছিল এক ব্যক্তি। এ সময় বাড়ির লোকজন তার হাতে আঘাত করলে সে ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
মর্নিংনিউজ/বিআইএস