দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলো। শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে পাটকলগুলো বন্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মুখ্য সচিব বলেন, সকালে গণভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যখন প্রধানমন্ত্রী পাটকলের উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত দেন, তখন তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন ও রিমডেলিংয়ের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তাদের আরো দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আওতায় আধুনিকায়ন করে এসব পাটকলকে উৎপাদনমুখী করা হবে। পরে এ কারখানাগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্য সচিব।
শ্রমিকদের পাওনা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। এ জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছিলেন, ধারাবাহিকভাবে লোকসানের মধ্যে রয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল। এসব পাটকলে স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। তাদের চাকরি গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসানের সিদ্ধান্ত হয়।