একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

একাদশ শ্রেণিতে (এইচএসসি) ভর্তি কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা-২০২০ ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

“গত ৩১ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলেও কোভিড-১৯ এর কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। ভর্তির বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড প্রস্তত রয়েছে। খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।”

ঢাকা-১০ আসনের শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুই মাস লকডাউনের পর অফিস-কারখানা-যানবাহন চালু করে কিছু বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত।

মে মাসে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হলে ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ ।

কিন্তু ওই মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়া হলেও মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় একাদশে ভর্তি পিছিয়ে যায়।

এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। অর্থাৎ তারাই এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তাও স্থগিত করেছে সরকার।

ময়মনসিংহ-৮ আসনের জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে সংক্রমিত না হয় তার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত রাখার লক্ষ্যে এবং শিক্ষার মান ধরে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।“

নেয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি জানান, দেশে সরকারি পর্যায়ে কোনো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নেই। বেসরকারি পর্যায়ে ১৪৫টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে।

আরও পড়ুন করোনায় ঘর বন্দী শিক্ষার্থী; শিক্ষকের প্রশ্নে ঘরেই পরীক্ষা নিচ্ছেন মায়েরা

ঢাকা-১০ আসনের শফিউল ইসলামের প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

এ পরীক্ষা আরও যুগোপযোগী করে আয়োজেনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি বোর্ড গঠনের বিষয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর ডিপিপিতে যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *