করোনায় ঘর বন্দী শিক্ষার্থী; শিক্ষকের প্রশ্নে ঘরেই পরীক্ষা নিচ্ছেন মায়েরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী স্কুল-কলেজ বন্ধ। চারমাস ধরে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক ছিন্ন। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় যেমন পিছিয়ে পড়ছে, তেমনি  মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এই অস্বস্তিকর অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখতে ও শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ ঠিক রাখতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরায় প্রতিষ্ঠিত হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুল করোনাকালীন কিছু  কাজ করছে ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিমা আক্তার শিক্ষকের দেওয়া প্রশ্নপত্রে ঘরে বসে মায়ের সামনে বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা দিচ্ছেন।

ওই শিক্ষার্থীর মা জানালেন, শিক্ষকদের দেওয়া প্রশ্ন পাওয়ার পর ৫ দিন পর ঘরে বসে পরীক্ষা নিচ্ছি। সব বিষয়ে পরীক্ষা শেষ হলে স্কুলে গিয়ে উত্তরপত্র জমা দিব।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার অনেক ক্ষতি হয়েছে।পড়াশুনা চালিয়ে যেতে শিক্ষর্থীদের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুলের সকলকে সাধুবাদ জানাই।

প্রথমত, মুঠোফোনে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত কথা বলা ও স্ব স্ব বিষয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া।

দ্বিতীয়ত, স্কুল অফিসে স্ব স্ব বিষয়ের শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করে শিক্ষার্থীর বাসায় পৌছিয়ে দেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে উত্তরপত্র সংগ্রহ করা ও মূল্যায়ন করে ফলাফল শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুলের এমন উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ ফিরে আসছে তাদের। শিক্ষকদের অভাবও বোধ করছেন না শিক্ষার্থীরা। স্কুলের প্রশ্ন পেয়ে ঘরে বসে পরীক্ষা নিচ্ছেন মা।

আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙ্গনরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

এবিষয়ে হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক প্রভাষক আবু সাঈদ বললেন, ‘করোনাকালীন শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনোবল অটুট রাখতে ও নিয়মিত পড়ার টেবিলে বসাতে হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখছে,স্ব স্ব বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে পড়াশুনায় শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছে ও স্কুলে প্রশ্নপত্র তৈরী করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠাচ্ছে। যথা সময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ফলাফল জানানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *