নতুন অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, এই বাজেট করোনাকালীন সময়ের বাজেট নয়। এটা হচ্ছে একটা প্রোটোটাইপ ব্যুরোক্রেটিভ একটা ফরমেটে ফেলে এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। এই বাজেট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই বাজেট ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য ও মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এখন আপদকালীন একটা বাজেট সরকারের তৈরি করা উচিত ছিল। বাজেটে নেওয়া কর্মসূচিগুলো কিছু নির্দিষ্ট দল-গোষ্ঠিকে লক্ষ্য করে গৃহীত। এভাবে মূলত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গোষ্ঠীতন্ত্র লালন করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বাজেটটা কোনোমতেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অর্থাৎ এতো আয় তারা কোত্থেকে করবেন সেটা তারা সুনির্দিষ্টভাবে বলেনি। রাজস্ব আয় যেটা বলেছেন, এটা একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ গত বছরের সমস্ত অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, ৫০ ভাগও তারা আদায় করতে পারেনি।
বাজেট পাসের পরদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল লন্ডনে যাওয়ার সমালোচনাও করে তিনি বলেন, পরীক্ষার কিটের অভাবে, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে। আর অর্থমন্ত্রী গেলেন বিদেশে – এটা জনগণের সঙ্গে মশকরা ছাড়া আর কিছু না।
মোবাইল ফোন সেবার ওপর কর না কমানোয় এবং করোনাভারাইস সংক্রামণ শনাক্তকরণে পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের সমালোচনাও করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহামারীর কারণে অর্থনীতিতে দীর্ঘকাল যে মন্দা থাকবে তাতে মানুষের আয় ও অভ্যন্তরীণ ভোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে চরম ঘাটতি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিন ৬ মাসে বাংলাদেশে আনবে গ্লোব বায়োটেক
দলের এই মূখপাত্র বলেন, এই ঘাটতি গিয়ে ঠেকবে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকায়। ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের মূল পদক্ষেপ হবে ঋণ করা। বাজেটেই উল্লেখ করা হয়েছে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ৮৫ হাজার কোটি টাকা যেটা শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণে গিয়ে দাঁড়াবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের এই অকল্পনীয় পরিমাণ টাকা ধার করার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ একেবারে শূণ্যের কোঠায় চলে আসবে যা, কর্মসংস্থানের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেবে।