আজ বুধবার (১০ জুন) পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান স্থাপন করা হচ্ছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-চ্যানেলের মাঝ বরাবর। তাই এই রুটে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। ভোগান্তি এড়াতে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাংগা মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্পরুটে (ঢাকা-পাটুরিয়া-ভাংগা) চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে সেতু বিভাগ।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেল দিয়ে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারসহ সব ধরনের জলযান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। মহাসড়ক এবং জলপথ ব্যবহারকারীদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সেতু বিভাগ।
গত সোমবার (৮ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, ৩১তম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যান। এটি বসে গেলে সেতুর বিশেষ একটি ধাপ সম্পন্ন হবে। এতে বসে যাওয়া ৩১তম স্প্যানের মধ্যে ২৯টি স্প্যান একসঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ জাজিরা থেকে এই স্প্যান যুক্ত হয়ে মাওয়ার কাছাকাছি চলে আসবে। সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪২তম খুঁটি থেকে ১৩তম খুঁটি পর্যন্ত এই সেতু বন্ধন হতে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ব্যস্ততম নৌরুটের কারণে ২৬তম খুঁটি স্থাপনে বিলম্ব হয়। সেখানেও বিকল্প চ্যানেল কেটে দিয়ে খুঁটিটি স্থাপন করতে হয়েছিল। বর্ষা মৌসুমে জাজিরার ৪২তম খুঁটি থেকে মাওয়ার ১৩তম খুঁটি এলাকা পর্যন্ত লাখ লাখ ঘন ফুট পলি পড়ে নাব্যতা সৃষ্টি হয়। তাই ভরা বর্ষার আগেই এই স্প্যান স্থাপন করা না গেলে নাব্যতা সঙ্কটের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতো। তাই বর্ষার পলি আসার আগেই এই স্প্যান স্থাপন হতে যাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্টরা খুশি। এখন মাওয়া প্রান্তে আর মাত্র ১০টি স্প্যান বসানো বাকি থাকছে। যা ভরা বর্ষায়ও খুঁটির ওপর বসাতে নাব্যতা বাঁধা হতে পারবে না। কারণ মাওয়ার এই অংশে মূল পদ্মা। সব সময় স্রোত বইতে থাকে। এখানে পলি জমতে পারে না। এই অংশের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে দুই স্প্যান বসেছে আগেই। এখন এই দুই স্প্যানের দু’পাশে বাকি ১০ স্প্যান বসে গেলেই পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।