ঝিনাইদহে পুলিশ ও সেনা সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত পুলিশ সদস্য মোঃ মিলন হোসেন ও সেনাসদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ সদস্য মোঃ মিলন হোসেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। সেনা সদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান বর্তমানে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত রয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য মিলনের মা জাহানারা বেগম বলেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চার/পাঁচ জন অস্ত্রধারী আমাদের বাড়ির গেট কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ মেরে রাখে। আমাদের বাড়িতে গচ্ছিত টাকা ও মেয়ের বিয়ের জন্য গোছানো স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ডাকাতদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো। সেনা সদস্য হাসানুজ্জামানের পিতা হেলাল উদ্দিন জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত আমাদের বাড়িতে মেইন গেট কেটে প্রবেশ করে। আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ মেরে ফেলে রেখে আমাদের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো বলে কাউকে চিনতে পারিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আযম মেম্বর জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাড়ির মেইন গেট কেটে পুলিশ সদস্য মোঃ মিলন হোসেন ও সেনাসদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান এর বাড়িতে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, আমরা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছি। ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।