ভাঙনের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে অনেক পরিবারের লোকজন তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে ফেলছেন অন্যত্র। অনেকে কেটে ফেলছেন বসতভিটার গাছপালা। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না নদীভাঙন। ভাঙন কবলিত লোকজন তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ভাঙন-কবলিত এলাকার বাসিন্দা শাহিন মিয়া, হযরত আলী, সোহরাব হোসেন জানান, অতিবৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে ভাঙন বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে আমাদের ফসলি জমি, বাঁশঝাড় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে বেশ কয়েকবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। এতে আর্থিক ক্ষতির কবলে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ভাঙন থেমে নেই। নদীতে বাঁধ দেয়া না হলে অতি দ্রুত আমাদের চর গোকুন্ডা গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে।
বেশি ভাঙন-কবলিত এলাকাগুলো হলো চরগোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, মহিষখোঁচা, গোবর্ধন, চন্ডিমারী, বালাপাড়া। এই এলাকাগুলোসহ ১৫টি গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীভাঙনে মানুষজন সর্বশান্ত হয়ে গেছে। একদিকে করোনার কারণে এসব খেটে খাওয়া মানুষ বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তার ওপর এই নদীভাঙন। ফলে অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের জীবন কাটছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাট জেলার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, জরুরি-ভিত্তিতে ভাঙনরোধের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবিলম্বে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জমিজায়গা-ঘরবাড়িসহ সকল স্থাপনা রক্ষার দাবি তিস্তা নদীর ভাঙন-কবলিত এলাকার মানুষের।