করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকার নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে। নতুন এ কৌশলে পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে লকডাউন করা হবে। ইতোমধ্যে বেশকিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। লাল (রেড) ও হলুদ (ইয়েলো) জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এসব অঞ্চলে বসবাসকারী কর্মকর্তারাও সাধারণ ছুটির আওতায় পড়বেন।
সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, লাল ও হলুদ জোনে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে যেভাবে অফিস চলছে, সবুজ জোনে অবস্থিত অফিসগুলো ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেভাবেই চলবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ‘সবুজ অঞ্চলে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এব বেসরকারি অফিস নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, ‘অনুমোদিত অঞ্চলে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল ও বিমান চলাচল করতে পারবে; তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৯৯
এরআগে রবিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রেড জোন চিহ্নিত এলাকা লকডাউনের আওতায় ও সাধারণ ছুটি থাকবে। এ ছাড়া আগের শর্তেই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে। বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে, সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে কোনো ছুটি ঘোষণা করা হবে না।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর কয়েক দফা বাড়নোর পর ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে চালু হয় অফিস। একইসঙ্গে চালু হয় গণপরিবহনও।