সীমিত পরিসরে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। তবে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমেই জরুরি পরিষেবাগুলো চালু থাকবে।
শনিবার (৩০ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান বিষয়টি মর্নিং নিউজ বিডিকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সামনে বাজেটসহ কিছু জরুরি কাজে অফিস খোলা থাকবে। কিন্তু এসময় আমাদের স্টাফ বাস চলবে না। ক্যাম্পাস ও তার আশেপাশে যারা আছে, তাদের দ্বারাই অফিস চলবে। প্রয়োজন হলে স্টাফদের আমরা ডেকে নেবো।’
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে এলে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে প্রেসবিজ্ঞপ্তির ২৪ ঘণ্টার মাথায় নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
এর আগে শনিবার অফিস খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে দফায় দফায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ অফিস খোলা রাখলে পরিবহণ, কর্মস্থলসহ প্রত্যেক স্থানে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের দাবি জানান। প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্কসহ সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিতের পাশাপাশি যদি কেউ করোনা-আক্রান্ত হয় কিংবা মারা যায়, উভয়ক্ষেত্রেই দারা যুক্তিযুক্ত ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
এদিকে শনিবার (৩০ মে) দুপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীর মৃত্যুর হলে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্কের ছাপ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ২১’শ একর জুড়ে বিস্তৃত এ ক্যাম্পাসে ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪ হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছেন।