কালোমুখো হনুমানের জন্য বেগুন চাষ

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বিচরণকারী বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেগুন চাষ করা হচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় অত্র উপজেলায় বেগুনের আবাদ করা হয়। পরিষদ চত্বরে তিন শতক জমিতে প্রথমবারের মতো আবাদ করা খেতের বেগুন তুলে পরিষদ এলাকায় বিচরণ করা সকল হনুমানকে খাওয়ানো হয়। দীর্ঘদিন পর কলা-রুটির পাশাপাশি টাটকা বেগুন পেয়ে হনুমান দল আনন্দে লাফালাফি করতে থাকে। উপজেলা বন বিভাগের সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, কয়েক শত বছর ধরে কেশবপুর সদর এবং পাশের ১০থেকে ১৫কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ৪০০বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বসবাস করছে। বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চত্বর, হাসপাতাল এলাকা, পাইলট স্কুল এলাকা, মধ্যকুল, ভওগতী ও নরেন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর, ব্রহ্মকাটি সহ বারটি এলাকায় তাদের বিচরণ রয়েছে। বন বিভাগ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন হনুমানের জন্য দেড়মণ কলা, ৮কেজি বাদাম ও ৬কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। তবে এতসংখ্যক হনুমানের বিপরীতে ওই খাবার সবার মাঝে পৌঁছায় না।আর সে জন্য চলতি মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এডিপির অর্থায়নে হনুমান রক্ষায় বেগুনের আবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিন শতক জমিতে উপজেলা চত্বরের ভেতর হনুমানের খাবারের জন্য রোপণ করা হয় বেগুনের চারা। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই খেত থেকে প্রথমবার ৬কেজি টাটকা বেগুন তোলা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন নিজ হাতে পরিষদ এলাকায় বিচরণ করা হনুমানদেরকে খেতে দেন। ৩০থেকে ৩৫টি হনুমানকে টাটকা বেগুন খাওয়ার সময় আনন্দে লাফালাফি করতে দেখা যায়। বেগুন খেতে দেওয়ার সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, কেশবপুরে প্রায় ৪০০হনুমানের বিচরণ রয়েছে। প্রতিদিন সরকারিভাবে হনুমানের জন্য ৫৪কেজি কলা, ৮কেজি বাদাম ও ৬কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন,“চলতি বছর হনুমানের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে যত্নসহকারে ৩শতক জমিতে বেগুনের আবাদ করা হয়। এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার প্রথম ওই খেত থেকে কেজি টাটকা বেগুন তুলে হনুমানকে খেতে দেওয়া হয়েছে। দুই-তিন দিন পর পর বেগুন উত্তোলন করা যাবে। এ খেতের উৎপাদিত সব বেগুন হনুমানগুলোকে খাওয়ানো হবে।

 

মর্নিংনিউজ/বিআই/শেআ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *