কুড়িগ্রামে বন্যায় চরম দুর্ভোগে দেড় লক্ষাধিক মানুষ, পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যু

বন্যা কবলিত এলাকা। ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি

গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক বানভাসী মানুষদের। বিভিন্ন উপজেলায় ৫ শিশু ও এক বৃদ্ধসহ মোট ৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে চরাঞ্চলগুলোর বন্যা কবলিত এলাকার ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট বেড়েই চলেছে। সরকারীভাবে ত্রান তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

চারন ভুমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষেরা।

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ উমর ফারুক জানান, আমার ইউনিয়নের ১নং, ৩নং ও ৪নং ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়ী ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসমস্ত এলাকার মানুষ খাদ্য সংকটসহ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ওয়ার্ড গুলি পানিতে আংশিক ডুবে গেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানিতে ডুবে আরো ২ শিশুসহ এ পর্যন্ত ৫ শিশু ও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর: রপ্তানি গ্রহণ না করার প্রতিবাদে আমদানি বন্ধ

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ২ শিশু, চিলমারী উপজেলার ১ শিশু ও ১ বৃদ্ধ, নাগেশ্বরী উপজেলার ১ শিশু ও উলিপুর উপজেলার ১ শিশু রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানায়, বন্যার্তদের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ চলছে। নতুন করে আরো ১শ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কেটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে তা বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *