করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পালনে আরও কঠোর হওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। লকডাউন সফলভাবে পালন করতে বৃহস্পতিবার পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। একাধিক এলাকায় পুলিশকে ব্যারিকেড দিতে দেখা গেছে। লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ বাইরে না বেরোতে পারে সে ব্যাপারে সতর্কতামূলক প্রচারনাও চলছে।
খুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৫ জুন দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১৬ জুলাই দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২১ দিন সিটি কর্পোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নকে রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকালে রেড জোনে প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম।
তিনি জানান, এসব স্থানে লকডাউন শুরু থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বাইরের লোক ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এলাকা থেকেও যাতে বাইরে কেউ বেরোতে না পারেন সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখবে পুলিশ।
বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে- রেডজোনে বসবাসকারী চাকুরিজীবীরা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন। জরুরি প্রয়োজনে (যেমন ওষুধ ক্রয় ) অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। রিক্সা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি, মটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ কোনো যানবাহন চলবে না। অ্যাম্বুলেন্স সেবা এই আদেশের আওতাবর্হিভূত থাকবে। এসব এলাকায় কল-কারখানা বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় নমুনা না দিয়েই রিপোর্ট পজিটিভ
রেডজোনে অন্য এলাকা হতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও কাঁচাবাজার বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।