মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়নসহ বেশকিছু শর্তে বর্ধিত ভাড়ায় (৬০ শতাংশ) গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার। বেশকিছু দিন ঠিকঠাক চলার পরে উঠে আসতে থাকে নানা অভিযোগ। দাবি উঠে বাসের বর্ধিত ভাড়া বাতিলের। করোনার প্রাদুর্ভারের মধ্যেই মধ্যেই বাসের সব আসনে যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়াও বাতিল করা হবে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) বিআরটিএর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকালে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি, ডিএমপি, হাইয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়া এবং পাশাপাশি দুই সিটের একটি খালি রেখেই বাস চলবে। সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে যেমন ভাড়া ছিলো সেই ভাড়া চালু হবে। পাশাপাশি সিটে বসলেও যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পারতে হবে।
গত ৩১ মে থেকে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইদুল আজহার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক ভাবেই মানা হচ্ছিল গণপরিবহনে। তবে ইদযাত্রায় ও ইদ পরবর্তী সময় থেকে স্বাস্থ্যবিধির কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না গণপরিবহনগুলোতে। অনিয়ম করে যাত্রী বেশি নেয়া হচ্ছে এবং আদায় করা হচ্ছে বর্ধিত ভাড়াও।
আরও পড়ুন: কমলো করোনা পরীক্ষার ফি
অন্যদিকে, গত ১২ আগস্ট অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।