ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আপন দুই ভাই মিলে চাচা লাল্টু মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ১২নম্বর নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। লাল্টু মোল্লা কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামের গেনো মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে ১২নম্বর নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়াডাঙ্গা গ্রামের গেনো মোল্লার ছেলে লাল্টু তার ইতালি প্রবাসী চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান ওরফে নাকাই মোল্লার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রিভার সাথে পরকীয়ার জেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। এ ঘটনায় তাঁদের উভয় পরিবারের মাঝে বিরোধ শুরু হয়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে আসে লাল্টু। ১লা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে মিম আসাদ ও মিরাজ নামের আপন দুই ভাই তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী ও পিতার চাচাতো ভাই লাল্টুকে পার্শ্ববর্তী কাকুড়াডাঙ্গা বিলের মাঠে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেব আলী জানান, নিহত লাল্টু বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে পুকুর ও কলা বাগান দেখতে এসেছিলো। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নকাই ও রিভার দুই ছেলে মিম আসাদ ও মিরাজ লাল্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় লাল্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে চলে যায় তাঁরা। লাল্টুকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাল্টুকে মৃত ঘোষনা করেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘাতক ভ্রাতৃদ্বয় ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।