ঝিনাইদহে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিন ভাইকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর টিপু সুলতান
১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর টিপু সুলতান

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় তিন ভাইকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর টিপু সুলতান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এক জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোয়ার বাইরে কাউন্সিলরসহ মামলার বাকি আসামীরা।

মঙ্গলবার(১২সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, শহরের কাঞ্চননগর এলাকার মো. ইয়ারুল ইসলামের ছেলে মো.নাসিরুল ইসলাম(নিশান), তার ছোট ভাই নাহিদুজ্জামান(দ্বীপ) এবং তার ভাতিজা তানজিমুজ্জামান তনু। আহতদের সবাই শহরের কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা।

এ দিকে এ ঘটনায় বুধবার(১৩ সেপ্টেম্বর) আহতের বাবা মো. ইয়ারুল ইসলাম কাউন্সিলর টিপু সুলতান সহ ৫জনের নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেন।

আহত নাসিরুল ইসলাম(নিশান) জানান, সীমানাপ্রাচীর নির্ধারণে জন্য আমাদের একটি জমির মাপ চলছিল। সেখানে আমি ও আমার ছোট ভাই দ্বীপ আব্বুর সাথে যায়। সাথে আমার চাচাতো ভাই তানজিমুজ্জামান তনুও যায় আমাদের সাথে। মাপ শেষে আমাদের জমির সীমানা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়। সে সময় তারা জমি ছেড়ে দেবে না বলে তখনই জোর করে সীমানাপ্রাচীর করতে যায়। তাদের আমি নিশেধ করতেই বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত সদর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. টিপু সুলতান এর লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। সেসময় সেখানে একজন মোবাইলে ভিডিও করছিল। ওরা তার মোবাইল ফোনটাও কেড়ে নেয়।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন কাউন্সিলর টিপু এভাবেই জবরদখল করে মানুষের জমি দখল করে আসছে। সে এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাদিদুল ইসলাম জানান, জমি মাপের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এসময় আমি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকলে আমাকে মেরে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। ৫ ঘণ্টা পর তারা মোবাইল ফেরত দিলেও সব ছবি ও ভিডিও মুছে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর টিপু সুলতান জানান, তারা আমার উপর যে অভিযোগ করছে এটা সত্য না। বরং মারামারি সময় আমি আরো ঠেকিয়ে দিয়েছি। মারামারির সময় দুই পক্ষের মানুষই মার খেয়েছেন। আর কারো মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

মামলার বাদী ইয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকেই কাউন্সিলর ও তার অনুসারীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

মর্নিংনিউজ/বিআইএস

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *