বেনাপোল বন্দর প্রতিনিধি : বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীর ভূয়া ভ্রমন কর ট্যাক্স জালিয়াতির ঘটনায় সাদীপুর রোডস্থ চৌধুরী সুপার মার্কেটের “বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট”এর মালিক শামিম হোসেন(৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শামিম সাদিপুর খেয়াঘাট পাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন চৌধুরীর মেজো ছেলে। গত বছরও ভ্রমন কর ফাঁকি দেওয়ার কারনে তার নামে মামলা হয়, মামলায় সে অভিযুক্ত আসামী।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাল ভ্রমন কর তৈরীর মূল হোতা শামীম প্রতিদিন ১০০থেকে ১৫০টি অনলাইন ভূয়া ভ্রমন কর তৈরী করে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। এই কর ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে ও পরিবারের নামে একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও জমি কিনেছে। এছাড়াও সে স্বর্ণ ও হোন্ডির ব্যবসা করে আসছে। তার পিতা মমিন চৌধুরীও একজন মাদক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার নামে বেনাপোল পোর্ট থানা ও বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় একটি চক্র যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ভ্রমণ কর জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থলবন্দরের অফিসার কর্তৃক পাসপোর্ট চেকিং পয়েন্টে যাত্রীর ভ্রমন কর চেকিং এর সময় ভ্রমন কর জাল সন্ধেহ হলে যাচাই করে ভূয়া প্রমানিত হয়। সে সময় পর পর ৬জন পাসপোর্ট যাত্রী ১.জুলু হোসেন ২.তাছলিমা খাতুন ৩.সুইটি ৪.নাজমা ৫.রেক্সোনা ৬.নাছিমার ভাষ্যমতে জাল ভ্রমণ করের কারিগর “বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট” নামক দোকান থেকে তারা ভ্রমন ট্যাক্স কেটেছেন বলে জানায় এবং তাদের সাথে থাকা প্রতিটি ভ্রমন কর জাল বলে প্রমানিত হয়। আমরা তার ধারাবাহিকতায় জাল কর ফাঁকির হোতা শামিমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক রেখে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করেছি। এছাড়া ট্যাক্স জালিয়াতির হোতা শামিমের সাথে কে বা কারা জড়িত আছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, ভ্রমন ট্যাক্স জালিয়াতির সাথে জড়িত শামিম নামে একজনকে স্থলবন্দর হতে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ভ্রমণ কর জালিয়াতি চক্রের হোতা শামিমের বিরুদ্ধে লিখিত আদেশ দিলে আমরা সে মতে মামলা রুজু করবো।
মর্নিংনিউজ/বিআই/এআর