সোমবার চাকরি প্রত্যাশী মো. তারেক রহমানের পক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
এই আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। কিন্তু, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর থেকে কোটা প্রথা বাতিল করা হয়।পরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা নিজেদের স্বার্থে প্রজ্ঞাপনের অষ্টম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
রিটকারীর আইনজীবী জানান, অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই, অথচ যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে। এভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।