হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে: মির্জা আব্বাস

হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে ১দফা দাবি আদায়ে খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মঙ্গলবার সকালে এ মন্তব্য করেন।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, খুলনা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু সহ কেন্দ্র ও স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সভাপতিত্ব করেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম.এ. মজিদ।

মির্জা আব্বাস বলেন, হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি একটি সোস্যাল মিডিয়ার বরাত দিয়ে বলেন দেশ আজ মারাত্মক হারে ঋণ খেলাপিতে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে ঋণ খেলাপি ছিলো ২১হাজার কোটি টাকা যা আজকে ১০৯হাজার কোটি টাকা। কারা এ অর্থ পাচার করেছে তা ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করা হবে। এ অর্থের হিসাব পই পই করে দিতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি নিয়ে দেশকে দেউলিয়া বানিয়ে ফেলেছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, দেশকে বর্তমান সরকার হিরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। তাই হিরক রাজার যেমন শেষ পরিণতি হয়েছিল আপনাদেরও তাই হবে। ১৯৭১ সালে কারো রাজত্ব কায়েমের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গনতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বাক স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার অধিকারের জন্য।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় করতে না পারবো ততক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়বো না। শয়তানীর একটা সীমা আছে, আপনি চোরের প্রধানমন্ত্রী। তাই বলছি সময় থাকতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, নির্দলীয় সরকার গঠন করেন। যদি জনগণ মার শুরু করে রেহাই পাবেন না।

ঝিনাইদহে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী সভা শেষে সাড়ে এগারোটার দিকে রোডমার্চ মাগুরা জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রোডমার্চ মাগুরা, যশোর হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হবে।

 

মর্নিংনিউজ/বিআইএস

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *