ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নকে বৈধতা দিয়েছে: ছাত্র ইউনিয়ন

ছবি: সংগৃহিত

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নকে বৈধতা দিয়েছে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করে সংগঠনটি।

যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ‘স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া অন্য কোনো নারী যদি নির্যাতনের শিকার হয়…তা প্রতিহত করব’ এমন একটা বক্তব্য দিয়েছেন।

‘আমরা মনে করি, এই বক্তব্য ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে ক্রমাগত ঘটে চলা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা মাত্র।’

তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর নির্যাতনের শিকার নারীর মধ্যে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ খোঁজার মাধ্যমে সঞ্জিত তার সংগঠনের নারী নিপীড়কদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস করছেন।

ছাত্রলীগ পুরোদস্তুর একটি ধর্ষক-নিপীড়কদের সংগঠনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একশর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা ছাত্রলীগ নেতা মানিককে জনগণ ভুলে যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারী নিপীড়নের কলঙ্কিত ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল তারা এই ছাত্রলীগেরই নেতাকর্মী। সবশেষ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমন ছাত্রলীগ সভাপতি নারী নির্যাতনকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা চালাবেন, এতে আমরা একটুও বিষ্মিত হই না।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃদ্বয় আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে রণাঙ্গনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যোদ্ধা ছাত্র ইউনিয়নের ছিল। এটি ছিল একটি গণযুদ্ধ, দেশের সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নিয়েছিল। সঞ্জিত তার সংগঠনের অপকর্মকে বৈধতা দিতে এই রক্তার্জিত স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আদর্শকে কলঙ্কিত করেছেন।

‘যে রাজু শহীদ হয়েছিলেন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সন্ত্রাস প্রতিহত করতে গিয়ে, সেই রাজুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন। তার উপস্থিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আর ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *