দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ৪২৭ পরিবারের আরও ১ হাজার ৭৭৪ রোহিঙ্গা সোমবার বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাতে চট্টগ্রামে অবস্থানের পর মঙ্গলবার সকালে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজ।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোশারফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে তাদের মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। দুপুর নাগাদ তারা ভাসানচরে পৌঁছাবেন।
ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির জানান, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দল ভাসানচরে পৌঁছাবে। আরআরআরসি কার্যালয় থেকে প্রায় দুই হাজার জনের কথা বলা হয়েছে। আমরাও সেভাবে তাদের গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা গত রোববার থেকে নিজ নিজ শিবিরের কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এখন তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বর্তমানে সেখানে ৩০৬ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যারা সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে গত মে মাসে ফিরে এসেছিল।