থাই সরকার চলমান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থামানোর লক্ষ্যে রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারির আদেশ দিয়েছে। পুলিশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে’ জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। বড় কোন সমাবেশ আয়োজনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল সকালে পুলিশ অন্যতম প্রধান তিনজন নেতাসহ বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে। মূলত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজার ক্ষমতা কমিয়ে আনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ।
বিবিসি এর তথ্যানুযায়ী, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিক্ষোভের প্রধান নেতা ও মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যানন নামপা, ‘পেঙ্গুইন’ নামে সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট পারিত চিওয়ারাক এবং পানুসায়া সিথিজিরাওয়াত্তানকুল – রয়েছেন। মি. অ্যানন আগস্ট মাসে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে প্রথমবার সমালোচনা করে এবং প্রথাগত ধারার সংস্কারের দাবি তুলে আলোচনায় আসেন। ঐ মাসের শেষদিকে রাজতন্ত্রের নিয়ম সংস্কারের ১০ দফা দাবি পেশ করেন পানুসায়া সিথিজিরাওয়াত্তানকুল।
গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে ব্যাংককে জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। পুলিশের তথ্যানুসারে, তারা ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে, তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা’র ঘোষণায় বলা হয় বিক্ষোভকারীরা ‘বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতকে উস্কে দেয়’ এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছিল এবং ‘রাজকীয় গাড়িবহরে’ বাধা দিয়েছিল। এই আদেশে একসাথে চারজনের বেশি জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি মিডিয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ‘আতঙ্ক উদ্রেককারী বা ইচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য বিকৃত করে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করার মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা অথবা শান্তি-শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব ফেলে’, এরকম কোনো খবর প্রচার থেকেও বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই আদেশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাছাই করা যেকোনো এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারবে।