মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোড চালু হওয়ায় বেড়েছে যাত্রীর চাপ; মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
আজ সোমবার সকাল থেকেই এই নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে । দীর্ঘ ৬৬ দিন লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকার পরে পুনরায় চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু হয়েছে লঞ্চঘাটে। এতদিন ফেরিতে যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন ফেরিতে যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে । তবে ফেরিতে যাত্রীবাহীসহ অন্যান্য গাড়িগুলো পার হতে দেখা গেছে ।
লঞ্চ ও স্পিডবোটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে । তবে প্রশাসন তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে করে কোনো যাত্রী মাস্ক ছাড়া লঞ্চে উঠতে না পারেন । কড়া নজরদারিতে রয়েছে ঘাট এলাকা। কাউকে মাস্ক ছাড়া লঞ্চ অথবা স্পিটবোটে উঠতে দিচ্ছে না প্রশাসন ।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চালু থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পারাপার হতেন । অবশেষে দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
তিনি আরও জানান, গত দুই দিনের তুলনায় কাঁঠালবাড়িতে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম। তবে ব্যক্তিগত যানবাহনের জটলা রয়েছে। চলছে লঞ্চ ও স্পিডবোট। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। প্রশাসন থেকেও বারবার লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিকদের হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ও নিরাপত্তা-সামগ্রী রাখার আহবান জানানো হচ্ছে।
মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু হওয়ায় যাত্রীরা ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছে। গত কয়েক দিনের চেয়ে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও লঞ্চে গুনে গুনে নির্ধারিত যাত্রী তোলা হচ্ছে। আর মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।