জার্মানি , ফ্রান্স , নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশে তাদের অভ্যন্তরীণ সীমানা খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৫ জুন) ইউরোপিয়ান কমিশনের এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়েছে।
করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউ দেশগুলো গত তিন মাস আগে “একলা চলো নীতি” অনুসরণ করে দ্রুত তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ইতালি , স্পেন, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক দেশের নিজ নিজ সরকার এই সিধান্ত নিতে বাধ্য হয়। ইইউ জোন গুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে স্পেন এবং করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ইতালি ।
তবে পশ্চিম ইইউ দেশগুলো স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে চলাতে করোনা প্রতিরোধে তারা ভাল সুফল পেয়েছে । করোনা পরিস্থিতি দ্রুত কাটিয়ে উঠে অর্থনীতির চাকা সচল করতেই ইইউ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন: শুধু রেড জোনে ছুটি
ইতোমধ্যে এই সিধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইউরোপের প্রভাবশালী অনেকেই। নাগরিকরা বলছেন, অনেক দিনের আলসেমি একঘেয়েমির জীবন অবসান ঘটিয়ে সুন্দর একটি গ্রীষ্ম আবার আমরা কাটাতে পারব বলে আশা করছি ।সেক্ষেত্রে পর্যটকদের নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য , পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে জার্মানির বিভিন্ন শহরের প্রবেশ মুখে প্রধান ট্রেন স্টেশান গুলোতে হ্যান্ড সানিটাইজারের ব্যবহার এর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।