কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর আরএমও ডা. মুজিবুবুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ টিম নিয়মিত এ ল্যাবে নমুনা পাঠিয়ে আসছে। নমুনা পাঠানোর একদিন পরেই ফলাফল পাওয়ার কথা। কিন্তু টানা ৯ দিন ধরে পেকুয়ার ১৫২টি নমুনা জমা হয়ে আছে কক্সবাজারের ল্যাবে।
গত ২৩ মে হতে আজ পর্যন্ত টানা ৯ দিন কোনো নমুনার পরীক্ষা না হওয়ার কথা জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আরএমও ডা. মুজিবুর রহমান মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘এই পর্যন্ত আমাদের ১৫২টি নমুনা ল্যাবে জমা হয়ে আছে। পরীক্ষা না হওয়াটা খুবই হতাশার ও দুঃখজনক! আশাকরি সংশ্লিষ্টরা খুব শীঘ্রই এ সঙ্কট নিরসনে ব্যবস্থা নিবেন।’
এদিকে, টানা ৯ দিন ধরে রিপোর্ট না পাওয়াতে নমুনা দেওয়া সাস্পেক্টদের মাঝে অস্বস্তি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হলেও শনাক্ত না হওয়ার কারণে পাচ্ছেন না ভালো চিকিৎসাসেবাসহ ভেন্টিলেটরের মতো সুযোগসুবিধা।
এ বিষয়ে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. এম.এ মনসুর বলেন, উপসর্গবিহীন যারা নমুনা দিয়েছেন, তাদের মাঝে অনেকে যথাযথভাবে হোম কোয়ারেন্টিন পালন করছেন না। এর ফলে সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন,’ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলাসহ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের আরও ৫টি উপজেলার কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়। যার ফলে বেশকিছু নমুনা ল্যাবে জমা হয়ে আছে যা ম্যান-পাওয়ার আর যন্ত্রাংশের অভাবে পরীক্ষা হচ্ছে না। আশা করি আগামী সপ্তাহে এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত এই উপজেলায় ৬৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সেখান থেকে ৩২ জন সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।