করোনা: চাঁদপুরে বাড়ছে সংক্রমণ, কমছে সচেতনতা

চাঁদপুরে  ৯ এপ্রিল প্রথম রোগী শনাক্ত হবার পর শতকের ঘরে পৌঁছাতে সময় লেগেছিলো দেড় মাস। সেই তুলনায় গত এক মাসে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ।

করোনা শনাক্তের আড়াই মাসে জেলায় মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৬১০।মোট মৃত ৪৭ জন।সুস্থ হয়েছেন ১৬৩ জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৪০০ জন।।

করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ সত্ত্বেও জেলার সাধারণ মানুষের  মধ্যে সচেতনতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত এবং করোনার অন্যতম হটস্পট হওয়া সত্ত্বেও জেলায় মানুষের মধ্যে সচেতনতার  ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। জেলার অধিকাংশ বাজার-স্টেশনই মানুষে সয়লাব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ নামেমাত্র মাস্কের ব্যবহারেই যেনো দায় সেরে ফেলেছেন। জেলার অন্যতম বড় ও প্রধান বাজার হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেলো এক অবাক করা চিত্র। মানুষের মাঝে সচেতনতার কোনো বালাই’ই নেই। সামাজিক দুরত্বের তোয়াক্কা না করেই চলছেন সবাই। কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে হোটেল রেস্তোরাঁয় আড্ডা দিচ্ছেন নিজেদের মতো করে। জেলা সদরের মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করেই প্রতিনিয়ত ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়ত করছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ২২ জুন পর্যন্ত প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ৩৭৭১ টি। যার মধ্যে প্রাপ্ত  ফলাফলের সংখ্যা ৩১৮৮ টি। অপেক্ষমান ফলাফলের ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম জানান, মোট করোনা আক্রান্তের অধিকাংশই জেলাশহর বা তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে। ৬১০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৪৮ জনই জেলা সদরের বাসিন্দা। মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জেলা সদরের হবার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগীদের জেলাসদরে আসার প্রবণতাকে।

জেলার অনান্য উপজেলার মধ্যে  হাজিগঞ্জে ৬৬জন,মতলব উত্তরে ৩৩ জন,মতলব দক্ষিণে ৭৪ জন,কচুয়ায় ২৯ জন, শাহরাস্তিতে ৬৪ জন,ফরিদগঞ্জে ৬৩ জন,হাইমচরে ৩৩ জন আক্রান্ত।

মূলত সাধারণ ছুটি তুলে দেয়া পরবর্তী সময়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে বহুগুণ। এছাড়া প্রশাসনের নজরদারি কমে যাওয়া, মানুষের সচেতনতা কমে যাওয়াকেও দোষ দিচ্ছেন বিশিষ্টজনরা।এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবার আশঙ্কাও করছেন তারা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *