চট্টগ্রামের দুই হাসপাতালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন

ফাইল ছবি

নন-কোভিড রোগীদের ভর্তি না করে সরকারি আদেশের লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রাম ও ঢাকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগের আওতাভুক্ত হয়েছে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল।

ফেনীর বাসিন্দা জেবুল হোসেন রয়েল নামের এক ভুক্তভোগী এ রিট আবেদনটি করেছেন বলে জানা যায়। আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান বলেন, ‘রোববার রিট আবেদনটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে। আশা করি দু একদিনের মধ্যেই শুনানি হবে।’

রিট আবেদনে তিন হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যসচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— মর্মে রুল চেয়ে স্বাস্থ্য সচিব ও পরিচালকদের বিবাদি করা হয়েছে বলেও জানায় আইনজীবী ইয়াদিয়া।

আবেদনে ফেনীর দাগনভুইয়ার রাজাপুর ইউনিয়নের জাংগালিয়া গ্রামের বাসিন্দা জেবুল হোসেন রয়েল বলেছেন, তার মা মনছুরা বেগম (৬৭) দীর্ঘদিন অসুস্থ। গত তিন বছর ধরে তার কিডনি ডায়ালাইসিস করে আসছেন। হঠাৎ জ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে গত ১ জুন তিনি তার মাকে নিয়ে চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডের মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। অনুরোধ করার পরও হাসপাতাল দুটি তার মাকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়, সকল বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে। চিকিৎসা সুবিধা থাকা সত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আগত কোন রোগীকে কোনোভাবেই ফেরত দেওয়া যাবে না। রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে রেফার করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ছুঁই ছুঁই, আক্রান্ত দেড় লাখ

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে যেসকল রোগী কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা কোভিড আক্রান্ত না হয়ে থাকলে তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে বা কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনাও ছিলো মহামান্য আদালতের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *