ছেলের দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাগল প্রায় মা, নিজের একটি কিডনি ছেলে দিতে চেয়েও পারছে না অপারেশনের ১০ লাখ টাকা অভাবে। এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছে দরিদ্র এই পরিবারটি।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু থানার হরিশপুর গ্রামে আব্দুল খালেক এর ছেলে রাশিদুল ইসলাম(২৫), পেশায় আনসার বাহিনী সদস্য। তবে টানাপোড়েনের মধ্য চলে সংসার তার উপরে খবর এলো দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে রাশিদুলের।
রাশিদুল এর মা কান্নাভরা কন্ঠে বলেন, আমার ছেলের দুইটি কিডনিই নষ্ট। ছেলেকে বাঁচাতে আমার নিজের কিডনি দিবো।
জাতীয় কিডনী ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থতা আর মৃত্যুর মাঝে দাড়িয়ে দিন গুনছে রাশিদুল।
জাতীয় কিডনী ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, রাশিদুলের দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে, তার মা কিডনি দিলেও তা ট্রান্সফার করতে খরচ হবে ১০ লাখ।
তিনি আরও জানান, রাশিদুল এর অবস্থা তেমন ভাল না দ্রুত কিডনি ট্রান্সফার করা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
রাশিদুলের বাবা আব্দুল খালেক জানান, ছেলের কিডনি ট্রান্সফার করতে ১০ লাখ টাকা লাগবে, ধার দেনা করে ৪ লাখ টাকা জোগাড় করতে পেরেছি, এখনও ৬ লাখ টাকা কি করে জোগাড় করবো জানি না। তবে সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়ত নতুন জীবন পাবে আমার ছেলে।
তিনি আরও বলেন, ০১৭০০- ৫৮৮৮০৫ (পার্সোনাল) আমার বিকাশ নাম্বার, আপনারা আপনাদের সাধ্যমতো সাহায্য করলে হয়তো বাঁচাতে পারবো আমার ছেলেকে।