ঝিনাইদহে তিন ফসলি জমিতে কারখানা স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

 

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকার কুলচারা গ্রামের তিন ফসলি জমিতে কারখানা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নেয়। ভুক্তভোগি সরোয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শাহাদৎ হোসেন, ওলিয়ার হোসেন, মাজেদ বিশ্বাস, হবিবর রহমান, আমির হোসেন, মাসুদ রানা, আবু কাশেম, মনোয়ারা বেগম, স্বপ্ন খাতুন, মিরা খাতুন, ডালিম, রহিমা খাতুন, হোসনেয়ারা, আলমগীর হোসেন ঠান্ডু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া কোন জাতিকে পেছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।কিন্তু কিছু কুচক্রিমহল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষা করে তিন ফসলির জমিতে অবৈধ স্থাপনের পাঁয়তারা করছে। বর্তমানে জমিতে তারা ধান সহ বিভিন্ন ফসলাদী চাষাবাদ করছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য শিল্পনগরি বিসিকে অনেক জায়গা সরকারের পতিত রয়েছে।সেখানেও হতে পারে। কিন্তু ফসলি জমি নষ্ট করে কারখান নির্মাণ যুক্তিযুক্ত নয়।

এসময় সরোয়ার হোসেন জানান, আমার বাপ-দাদার পৈত্রিক জমি দখল করে অবৈধ পলিথিন এবং কাটুন কারখান তৈরি করছে যার ফলে আমাদের আবাদি জমি এখন ভুমকির মূখে। এসময় তিনি আরোও বলেন,আমি তাদের এবিষয়ে বললে তারা আমাকে হত্যার হুমকি এবং বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে, এর আগে অনেক বার আমাকে ভাড়া করা গুন্ডা বাহিনি দিয়ে মার ধোর এবং লাঞ্চিত করেছে।মিরা খাতুন নামে এক বক্তা বলেন, আমার জানামতে, কোন দিনে দেখি নাই যে, মাঠের মাঝ খানে এমন আবাদি জমি দখল করে কোন কারখান হয়।

এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মুন্তাছিরর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঝিনাইদহ সদর শৈলকুপা ভাটই বাজার কুলচারা গ্রাম এলাকায় এমন কারখান তৈরি হচ্ছে আমার জানা নেই, আর এমন(আপনারদের ভাষ্য মতে) তিন আবাদি জামিতে কারখান তৈরির ছাড়পত্র দেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।

এবিষয়ে কারখানার মালিক তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা সকল নিয়ম মেনেই কারখানা তৈরি করছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান খুলনা থেকে আমি ছাড়পত্র নিয়ে আসবো তখন এখানকার অফিস ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হবে।

 

মর্নিংনিউজ/বিআইএস

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *