সম্প্রতি ঢাকা ১৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আসলামুল হকের প্রয়াণের পর আসনটি শূণ্য হয়ে পড়ায় সাংবিধানিক নিয়মে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রস্তুতি যেমন খোদ নির্বাচন কমিশনের ঠিক তেমনি প্রার্থীতা প্রত্যাশীদেরও। দলের মনোনয়নের বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার দলে জায়গা নেই এমনটা জানার পরও প্রায় অর্ধশতাধিক আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তবে তাদের প্রত্যেকেই দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানানোর কথা জানিয়েছেন।যদিও নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না অন্য দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
তবে লক্ষ্য করার বিষয় হলো আওয়ামী লীগের এতো সংখ্যক মনোয়ন প্রত্যাশীরা অনেকেই আবার একে অপরের সহযোগি হয়ে কাজ করছেন। এমন ঘটনা নিতান্ত কম নয়। একজন অন্যজনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। কিছুদিন আগেই দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও ৯,১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি’র ত্রাণ ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি উপস্থিত হন।
উপনির্বাচনের হালচাল নিয়ে তথ্য সংগ্রহে কাজ করেছে আমাদের বিভিন্ন প্রতিবেদক। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে মনোনয়নযুদ্ধে এগিয়ে থাকা কয়েকটি নাম উঠে আসে। যাদের মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, প্রয়াত সাংসদ আলহাজ্ব আসলামুল হকের স্ত্রী মিসেস মাকসুদা হক, দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও ৯,১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের কার্য়করি কমিটির সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন।
আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে এই সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনকে ঘিরে তাদের আশা আকাঙ্খার কথা তারা প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরেছেন।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল, আমি দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে কাজ করে চলেছি। দেশনেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে ঢাকা মহানগর উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আশাকরি ঢাকা ১৪ আসনের জন্য তার বিবেচনায় ত্যাগী নেতাদের স্থান থাকবে। নেত্রী যদি আমাকে দায়িত্ব দেন তাহলে আমি নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন সাধনে জনমানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও ৯,১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি তার বক্তব্যে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন থেকে স্বচ্ছ রাজনীতি করে আসছি, যার উপহার হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদে আমি পর পর দুইবার ৯,১০,ও১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি, প্রয়াত আসলাম ভাইয়ের আসনে আমাকে যদি নেত্রী যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মনে করেন তাহলে এই ১৪ আসনকে আমি ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ এবং আসলাম ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করবো, সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ দূর করবো এটাই আমার নিবার্চনী ওয়াদা।”
অন্য দিকে প্রয়াত সাংসদ আলহাজ্ব আসলামুল হকের স্ত্রী মিসেস মাকসুদা হক বলেন, আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। নেত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের কার্য়করি কমিটির সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মিরপুর রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এই এলাকায় মনোনয়ন এর জন্য আমি নেত্রীর দিকে চেয়ে আছি। তবে নির্বাচনে সুযোগ পেলে এলাকার মানুষের পাশে দাড়াত চাই।
সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, আমি এর আগেও সংরক্ষিত আসনের এমপি ছিলাম এবারে আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করেন তাহলে আমি ১৪ আসনকে সুন্দর কিছু উপহার দিবো।